কুপিয়ে জখমের পর মামলার বাদীকেও মারধর
চারদিন আগেই বরগুনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আজ শুক্রবার ওই মামলার বাদীর ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার রাতে জেলার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ও যুবলীগকর্মী ইউসুফ হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার তালতলীর মাছবাজার এলাকায় মামলার বাদী ইউসুফের বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা।
জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, গত বুধবার তিনি তালতলী থানায় ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা।
জাহাঙ্গীর আরো জানান, শুক্রবার সকালে তিনি তালতলী মাছ বাজার এলাকায় গেলে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজভী উল কবীর জমাদ্দারের নির্দেশে মামলায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুহিন জমাদ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিরাজ জমাদ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য স্বপন জমাদ্দার ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ইলিয়াস জমাদ্দার তাঁদের সহযোগীদের নিয়ে লাঠি দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। এদিকে হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজভী উল কবীর জমাদ্দার।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, বাদীর ওপর হামলার ঘটনা তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত সোমবার রাতে তালতলীর মালীপাড়া স্লুইসগেটের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন বড়বগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ও যুবলীগ কর্মী ইউসুফ হাওলাদার। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।