জাতীয়ভাবে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস পালনের দাবিতে বরগুনা ও ঝালকাঠিতে পৃথক মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। মানববন্ধনে ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

রোববার সকালে বরগুনা জেলার প্রেসক্লাব ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উদ্যোগে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন ও উপকূল উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার দাবিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণে বেঁচে থাকা পরিবারগুলো সব হারিয়ে এখনো নিঃস্ব। তাঁরা উপকূলবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য উপকূল উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠাসহ ৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে সরকারিভাবে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস পালনের  দাবি জানান।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন কামাল, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সোহেল হাফিজ, জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু জাফর সালেহ ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।

অন্যদিকে, রোববার সকাল ১০টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে  ঝালকাঠি প্রেসক্লাব, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), সূর্যালোক ট্রাস্ট, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশ যৌথভাবে কর্মসূচির আয়োজন করে। তারা প্রেসক্লাব থেকে একটি র‍্যালি বের করে। এটি শহর ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সূর্যালোক ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার, সুজনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস সিকদার ফরহাদ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি প্রশান্ত দাস হরি, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্ত, দুলাল সাহা, মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাংবাদিক কে এম সবুজ।

বক্তারা উপকূলবাসীর জন্য ১২ নভেম্বর একটি দিবসের দাবি জানান এবং  ১৯‌৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।