তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা : পাথরঘাটায় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বরগুনার পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পুকুর থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ১২ আগস্ট পুলিশ বাদীয় হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করে।
এই তরুণীর পরিচয় মেলেনি। এর মধ্যেই ঘটনার তিন মাস পর ১০ নভেম্বর ওই কলেজের নৈশপ্রহরীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নৈশপ্রহরী ওই তরুণীকে হত্যার নেপথ্যে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে দায়ী করে বক্তব্য দেন।
এ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সভার পর রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব ছাত্রলীগ নেতাকে কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, তরুণীকে হত্যার ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের অপর এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাই পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক জানান, তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি রুহি আনাল দানিয়াল, সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিদুল ইসলাম রায়হানকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তাই ওই কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে সব নেতাকে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জুবায়ের আরো জানান, তরুণী হত্যার ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. মাহমুদ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।