মাদ্রাসায় না আসায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সাকিবুল হাসান (১০) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে ওই মাদ্রাসারই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মোস্তফা হোসাইন পলাতক আছেন।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার হারং পশ্চিমপাড়া ভুইয়াবাড়ি তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। সাকিবুল ওই গ্রামের দিনমজুর মিজানুর রহমানের ছেলে।
সাকিবুল হাসানের মা ফেরদৌসী বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাড়িতে ধান কাটার কাজ থাকায় একদিন মাদ্রাসায় না যাওয়াতে গতকালও সাকিবকে মারধর করেন ওস্তাদ মোস্তফা হোসাইন। তারপরও আজ সাকিবকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। কিন্তু আমার অবুঝ শিশুটিকে হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে পিটিয়ে আহত করেন ওস্তাদ। আমি এর বিচার চাই।’
ওই মাদ্রাসার ছাত্র এবং সাকিবের সহপাঠী আল-আমিন ও মো. আব্দুল্লাহ জানায়, সাকিব মাদ্রাসায় না আসায় হুজুরে ওর হাত-মুখ ও চোখ বাইন্ধা অনেক পিটাইছে।
ফরিদ মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘কাইলকা (গতকাল) সাকিবের মা ধান দাওনের লাইগ্গা নিয়া গেছে। আইজকা আওনের পর তার হাত বান দিছে, চোখটি বান দিছে, দিয়া তারে ৫০০ অইব পিটা দিছে।’
‘বছর খানিক আগেও সে এরুম একটা ঘটনা কইরা পুরা গ্রামে মারিমারির সৃষ্টি করছে, মামলা হইছে। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করছে।’ যোগ করেন ফরিদ মিয়া।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চৌধুরীর কাছে বিচার প্রার্থনা করলে তিনি শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেন।
ইউএনও সুমন চৌধুরী জানান, অভিযুক্তকে আটকের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।