দারোগা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা, শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া সাহাপাড়ার শতাধিক নাগরিক আজ বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমানে শেরপুর সিআইডিতে কর্মরত এসআই ধনরঞ্জন দাস নেত্রকোনা পৌর এলাকার নাগড়া সাহাপাড়ায় জায়গা কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। এর আগে এ এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকরা পায়ে চলা রাস্তা দিয়ে তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে যাতায়াত করে আসছিল। প্রতিবেশীদের সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা না করেই এসআই ধনরঞ্জন দাস ও তাঁর স্ত্রী পুলিশের দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা সরু করে পাঁচ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। এতে নিকট প্রতিবেশী চম্পা রানী সাহা, সমর নন্দী, আরাধন সাহাসহ এলাকাবাসীর চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে। প্রতিবেশীরা সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের সময় কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ জানালেও পুলিশের ওই কর্মকর্তা এবং তাঁর স্ত্রী মমতা রানী প্রতিবেশীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ করেন। বর্তমানে দেড় ফুট সরু রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসীকে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কোনো মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় দেয়ালে কোনো শব্দ হলেই তাঁরা প্রতিবেশীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন।
লিখিত আবেদনে আরো বলা হয়, এ নিয়ে এলাকার কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশে বসলেও তাঁদের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাঁরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। তাঁদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সিআইডির এসআই ধনরঞ্জন দাস ও তাঁর স্ত্রী মমতা রানীর অত্যাচার, নির্যাতন ও হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে এসআই ধনরঞ্জনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।