ভাইয়ের কোপের আঘাতে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুণা গ্রামে ভাইয়ের কোপের আঘাতে আহত অপর ভাই মো. সমেদের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরুণা গ্রামের আবদুর রহমানের বড় ছেলে আবদুর রশিদের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাইদের জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে আবদুর রশিদের সঙ্গে ছোট ভাই মোস্তফার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবদুর রশিদ ঘরে থাকা রামদা নিয়ে মোস্তফাকে (৪২) এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকার শুনে অপর ছোট ভাই সমেদ তাঁকে রক্ষা করতে যান। আবদুর রশিদ তাঁকেও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
কোপের আঘাতে মোস্তফা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত সমেদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর গতকাল তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম বলেন, মোস্তফা নিহত হওয়ার পরদিনই তাঁর স্ত্রী মদিনা আক্তার বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় ফিশারির পুকুরে বিদ্যুতের মোটরের সুইচ দিতে গিয়ে মামুন (১৬) নামের এক কিশোরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তেলিপাড়ার সোলেমান মিয়ার ছেলে মামুন গতকাল দুপুরের দিকে তাদের ফিশারিজের পুকুরের বিদ্যুতের মোটরের সুইচ দিতে যায়। এ সময় সে বিদ্যুতের তারে শক খেলে গুরুতর আহত হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব বলেন, মামুনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।