তিন থেকে চার, সিট নাই তার
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়ক থেকে তিন চাকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে মফস্বল থেকে শহরের হাসপাতালে যাওয়া রোগীরা। তিন চাকার যান বাদ দিয়ে চার চাকার যানে চলাচল করলেও নতুন বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত এবং হোমনা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত দুটি বাস সার্ভিস স্থানীয়ভাবে চলাচল করে। তাও আবার নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ডেই থামে। প্রতিটি বাসই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। অন্য জায়গার যাত্রীদের চলাচলের একামাত্র বাহন ছিল সিএনজি অটোরিকশাসহ তিন চাকার অন্য যানবাহন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিমসার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাস না পেয়ে অনেকে ট্রাকে উঠে গন্তব্যস্থানের দিকে যাত্রা করছেন। এর মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে।
যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, আগে সিএনজি অটোরিকশায় তবু সিট নিয়ে বসে যাতায়াত করা যেত বা রোগীদের হাসপাতালে নিতে হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা যেত কিন্তু এখন তা না থাকায় চার চাকার যান ট্রাকই তাদের ভরসা। কিন্তু এ ট্রাকে নেই কোনো সিটের ব্যবস্থা। ট্রাকে ওঠারও নেই কোনো সুবিধা। ফলে কষ্ট করে ট্রাকে উঠে নিচেই বসতে হচ্ছে যাত্রীদের। আর এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
কুমিল্লার নিমসার থেকে আলেখায় যাওয়া এক যাত্রী আবু কালাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমাদের চলাচলের দুর্দশার কথাটা একটু তুলে ধরেন ভাই।’
অপর এক ট্রাক যাত্রী সোলায়মান বলেন, ‘যখন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলত তখনই আমরা ভিড় ঠেইলা বাসে উঠতে পারতাম না, এখন তো অটোরিকশা নেই। ফলে বাসে আরো ভিড় বাইড়া গেছে। কাজেই আর উপায়ন্ত না দেইখা বাধ্য হইয়াই ট্রাকে যাইতাছি।’