প্রশ্নফাঁস, বরগুনার তিন শতাধিক স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ
একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় স্থগিত আছে বরগুনার ৩৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। গঠন করা হয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে এক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে। পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে হাজারও কোমলমতি শিক্ষক ও তাদের অভিভাবকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত প্রশ্ন ফাঁসে হওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেতাগী উপজেলার ১৪০টি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর আগে গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির তিন বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পেয়ে সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বরগুনা সদর উপজেলায় প্রশ্নফাঁসের পর গত ১২ ডিসেম্বর দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এবং বেতাগী উপজেলার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত শনিবার পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
অন্যদিকে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম সরোয়ার ননীকে আটক করে পুলিশ।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) আবদুল মজিদ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বেতাগী উপজেলার বার্ষিক পরীক্ষার দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার খবর পান তিনি। পরে মূল প্রশ্নের সঙ্গে ফেসবুকে পাওয়া ওই প্রশ্নের মিল থাকায় রোববারের বেতাগী উপজেলার দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আবদুল মজিদ আরো জানান, এ ঘটনায় বেতাগী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) আবদুস সালাম ও বেতাগী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাকটর এ কে এম শহিদুল্লাহর সমন্বয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া রোববারের পরীক্ষা স্থগিত করে ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বরগুনা সদর উপজেলার প্রশ্নফাঁসের পর গত ১২ ডিসেম্বর দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।