বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে আ. লীগ নেতার পদত্যাগ
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমান। আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেও কাজী মুজিবর রহমান নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের বৈধ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করেছেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. তারু মিয়াসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী মুজিবর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার সকালে স্বশরীরে অফিসে গিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা মারমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বাদপড়ার কোনো ধরনের শঙ্কায় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার কারণে পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা মারমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাজী মুজিবর রহমানের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। পার্বত্য জেলা পরিষদের নীতিমালা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলতি বছরের ২৩ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈ হ্লা মারমার সভাপতিত্বে জরুরি সভায় জেলা কমিটির ৭১ জন সদস্যের মধ্যে ৬৩ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাজী মুজিবর রহমান আরো বলেন, সাধারণ সম্পাদককে (কাজী মুজিবর রহমান) বহিষ্কারের এখতিয়ার জেলা আওয়ামী লীগের নেই। কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই জরুরি সভায় জোরপূর্বক কমিটির সদস্যদের সম্মতিক্রমে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগও দেওয়া হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
মুজিবর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো জেলা আওয়ামী লীগের বৈধ সাধারণ সম্পাদক। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর সদুত্তর না পেলে কেন্দ্রীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠাতে পারে। কিন্তু বহিষ্কার করার কোনো এখতিয়ার নেই। আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনোদিনও আমার বহিষ্কার আদেশে স্বাক্ষর করবেন না। কারণ মাঠ পর্যায়ে জনসমর্থন এবং সংগঠনের স্বার্থে আমার নিরলস পরিশ্রমের কথা তিনি জানেন।’