টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমা শুরু
টাঙ্গাইলে তাবলিগ জামাতের তিনদিনব্যাপী ‘জেলা ইজতেমা’ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে টাঙ্গাইল শহরের বৈল্যা ধুলেচর মাদ্রাসাসংলগ্ন বনানী মাঠে প্যান্ডেল সাজানো, অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ, অজু ও নামাজের স্থান নির্ধারণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি ওলামায়ে কেরাম বয়ানে অংশগ্রহণ করেছেন।
আগামী শনিবার সকাল ১০টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমা শেষ হবে বলে তাবলিগের সাথী সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে ইজতেমা প্রাঙ্গণে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় তাবলিগের মুরুব্বিরা জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন বয়সী তাবলিগের সাথীদের সঙ্গে অন্যান্য জেলার তাবলিগের সাথীরাও ইজতেমায় সমবেত হবেন। এ ছাড়া বিদেশি তাবলিগের সাথীরাও টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়। ফলে মুসল্লিদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। এ জন্য দেশের ৬৪টি জেলার তাবলিগের সাথীদের দুই ভাগে ভাগ করে ৩২ জেলা করে দুই পর্বে ইজতেমা সম্পন্ন হতো। দুই পর্ব করার পরও মুসল্লিদের জায়গার স্বল্পতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৩২ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে ১৬ জেলা করে দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেন তাবলিগের মুরুব্বিরা। বাকি ৩২ জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমা হবে।
টাঙ্গাইল জেলা ২০১৫ সালে বিশ্ব ইজতেমার ৩২ জেলার তালিকায় না থাকায় ওই বছরের ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর প্রথম আঞ্চলিক ইজতেমা হয়। গত ২০১৬ সালে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন টাঙ্গাইলের মুসল্লিরা। চলতি ২০১৭ সালে তুরাগ নদের তীরে টাঙ্গাইলের মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় এবারও জেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলার তাবলিগের মুরুব্বিরা ধারণা করছেন, টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় এ বছর তিন থেকে চার লাখ মুসল্লির সমাগম হতে পারে। বিদেশি মেহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও আসছেন তাবলিগের সাথীরা। এ বছর এখান থেকে দেশ-বিদেশে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে বেরিয়ে যাবেন মুসল্লিরা।
টাঙ্গাল জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, এবারের ইজতেমায় নিরাপত্তার স্বার্থে ৪৯৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকধারী পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা চেকপোস্ট ও সিসি ক্যামেরায় সারাক্ষণ মনিটরিং করছে যাতে কেউ নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে।