জাগরণীর এক বছর পূর্তি, কমছে মামলার জট
এক বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বরগুনা জেলা পুলিশের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও নারী সহায়তা কেন্দ্র ‘জাগরণী’। জাগরণীর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জাগরণীর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বরগুনার নারী নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি রত্না হালদার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বরগুনার পুলিশ সুপার ও জাগরণীর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় বসাক জানান, গত এক বছরে জাগরণীতে পারিবারিক কলহ, ইভটিজিং এবং নিষ্পত্তিযোগ্য ৩৩৩টি অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগীরা। এর মধ্যে ২২৯ অভিযোগের মীমাংসা করেছে জাগরণী। ডিভোর্সের পর ১৯টি অভিযোগের খোরপোশ আদায় করে দেওয়া হয়েছে। খোরপোশ হিসেবে কাবিননামায় উল্লেখিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে পাঁচটি অভিযোগের। জাগরণীতে অভিযোগকারী চারজন ভুক্তভোগীকে জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আর ৩২টি ইভটিজিংয়ের অভিযোগ মোকাবিলা করা হয়েছে কঠোরভাবে।
বিজয় বসাক আরো বলেন, শুধু সমস্যার সমাধানই নয়; জাগরণী থেকে যাঁরা সমাধান পেয়েছেন, তাঁদের নিয়মিত খোঁজও রাখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান বলেন, গত এক বছরে জাগরণী যে সাফল্য অর্জন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন, জাগরণী একদিকে যেমন মামলার জট কমাতে সহযোগিতা করছে, তেমনি কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বরগুনার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জাগরণীকে যদি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে নিষ্পত্তিযোগ্য বিরোধের ভুক্তভোগীরা খুব সহজে সমাধান পাবেন এবং আদালতে মামলার জটও কমবে।
জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি নাজমা বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ আবদুর রশীদ, জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি আলহাজ আবদুল মোতালেব মৃধা, নারীনেত্রী খালেদা ইসলাম, সোহেলী পারভিন ছবি, হোসনে-আরা হাসি, সোহনেয়ারা চম্পাসহ বরগুনার পাঁচ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান।