শিশু হত্যায় যাবজ্জীবন, আরেক শিশুহত্যার সময় গ্রেপ্তার
কয়েকদিন আগেই এক শিশুকে হত্যার দায়ে তাঁকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন নেত্রকোনার একটি আদালত। রায় দেওয়ার সময় তিনি পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকলেও দিব্যি প্রকাশ্যে সব কাজই করে বেড়াচ্ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলার মগড়াইল গ্রামের আল আমিন (২১)।
এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার আরো এক শিশুকে মাঠের মধ্যে জবাই করার চেষ্টা করছিলেন এ অভিযুক্ত। কিন্তু তার আগেই লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশে দেয়। আর গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু খালেদ সাইফুল্লাহকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব এনটিভি অনলাইনকে জানান, এক শিশুকে হত্যার দায়ে গত ৪ আগস্ট নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আল-আমিনকে পলাতক অবস্থায় যাবজ্জীবন করাদণ্ডাদেশ দেন। আজ তিনি আরেক শিশুকে হত্যার চেষ্টার সময় এলাকাবাসী তাঁকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আল আমিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গরুর জন্য রাস্তায় খাঁচা নিয়ে ঘাস কাটছিল। এ সময় একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহ (১২) ট্রলি দিয়ে ধান ভাঙানোর জন্য বাঁশাটি বাজারে যাচ্ছিল। পথে ট্রলির চাকা খাঁচায় লেগে যায়। এতে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে খালেদ সাইফুল্লাহকে মাটিতে ফেলে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়।
খালেদের চিৎকারের আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে এবং আল-আমিনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
পুলিশ জানায়, একই গ্রামের হতদরিদ্র নাদু ফকিরের স্ত্রী পারভিন আক্তার কদ্দুছ মাস্টারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। এ সময় আল-আমিন তাঁকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আল-আমিন ২০০৭ সালের ৯ মে দুপুরে গৃহপরিচারিকার চার মাসের শিশুকন্যা রিজাকে দু পায়ের গোছা ধরে খাটের সঙ্গে আছাড় মেরে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পারভিন আক্তার বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৪ আগস্ট এ মামলায় পলাতক অবস্থায় আল-আমিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়।