বোমা হামলার মামলায় খালেদা জিয়া প্রধান আসামি
রাজধানীর গুলশানে গতকাল সোমবার নৌমন্ত্রীর মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাঈল হোসেন বাচ্চু গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবিরকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে শ্রমিক-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মিছিলটি গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক মাঠ থেকে ৮৬ নম্বর রোডে খালেদা জিয়ার বাসার দিকে যাচ্ছিল। পথে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর বোমা হামলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এজাহারে আরো বলা হয়, ‘আমাদের অদ্যকার শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিকে বানচালসহ বোমা মেরে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের খুন, জখম এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ১। বেগম খালেদা জিয়া... গণসহ বিএনপি, জামায়াতের নেতৃত্বে ২০-দলীয় ঐক্যজোটের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে ও প্ররোচণায় আরো অন্যান্য অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা আশপাশের বিল্ডিংয়ে অবস্থান নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের অদ্যকার বেগম খালেদা জিয়ার অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যার উদ্দেশে বোমা মেরে গুরুতর জখম করতঃ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটন করেছে।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির খান, রাজধানীর বাড্ডার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা-১২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুরের মোস্তফা ও মামুন এবং ঢাকার ভাটারার মানিক।