প্রথম আলোর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
ঝিনাইদহে কর্মরত সাংবাদিকরা এক কাতারে শামিল হয়ে জেলাসহ দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে একের পর এক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্যসহ শৈলকুপা, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও হরিণাকুণ্ডুতে কর্মরত জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার শতাধিক সাংবাদিক খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে মিলিত হন। বেলা ১১টায় জেলা শহরের পায়রা চত্বরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে মুন্সি মার্কেটের সামনে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এ এস এম কবীরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপুর পরিচালনায় সাংবাদিক আজাদ রহমানসহ ঝিনাইদহের সাংবাদিকদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাংবাদিক নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র আনিছুর রহমান খোকা, নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, এম সাইফুল মাবুদ, আলাউদ্দীন আজাদ, নিজাম জোয়ারদার বাবলু, শেখ সেলিম, এম রায়হান, শৈলকুপার এম হাসান মুসা, শাহিন আক্তার পলাশ, আলমগীর অরণ্য, শিহাব মল্লিক, তাজনুর রহমান ডাবলু, হরিণাকুণ্ডুর নাজমুল আহসান, সাইফুজ্জামান তাজু, কালীগঞ্জের জামির হোসেন, মিঠু মালিথা, মহেশপুরের আব্দুর রহমান, আব্দুস সেলিম, জিয়াউর রহমান, নাসির উদ্দীন, কোটচাঁদপুরের ফারুক হোসেন হাওলাদার, শেখ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু সমাবেশে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিক আজাদ রহমানকে চিনি। তিনি চাঁদাবাজি করতে পারেন না। অথচ তাঁর নামে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ব্যক্তি। দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া মিথ্যা তথ্যে কৃষিমন্ত্রী বিভ্রান্ত হয়েছেন।
পৌর মেয়র বলেন, আদালতের চোখ বন্ধ নয়। নিশ্চয় প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিক আজাদ ন্যায়বিচার পাবেন। মামলাগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হবে বলে মেয়র মিন্টু আশা ব্যক্ত করেন।
অন্য বক্তারা দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্র ও মুক্তমতকে বাঁচাতে হলে সাংবাদিকদের বাঁচাতে হবে। সমকাল সাংবাদিক সায়েম ও সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। বন্ধ মিডিয়াগুলো খুলে দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
তৃণমূলের সাংবাদিকরা বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই মিথ্যা মামলা হয় এবং মারধর করা হয়, কোনো প্রতিকার নেই।