মাদারীপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের কুমারটেক গ্রামে পারভীন বেগম নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে পুলিশ নিহত গৃহবধূর স্বামী সম্রাট মাতুব্বরকে আটক করেছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের কুমারটেক গ্রামের মৃত আনার উদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সম্রাট মাতুব্বরের সঙ্গে একই উপজেলার ঘুনসি গ্রামের সালেনুর মাতুব্বরের মেয়ে পারভীন বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে সাদিয়া আক্তার নামের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে। এ ছাড়া বর্তমানে ওই গৃহবধূ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গৃহবধূ পারভীন বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্বামী সম্রাট মাতুব্বর মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গৃহবধূ মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহতের বোন জেসমিন আক্তার বলেন, 'সম্রাট আমাদের জানায় পারভীনকে রাতে কালাবাহিনীর লোক কুপিয়েছে। তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনলে ডাক্তার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন। এই খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে আসি। ফরিদপুর নেওয়ার উদ্দেশে রওনা হলে রাজৈরের টেকেরহাটের কাছাকাছি গেলে সে মারা যায়।'
এ ব্যাপারে নিহত পারভীনের বোন জেসমিন আক্তারের স্বামী রাজীব মজুমদার বলেন, 'লাশ নিয়ে যখন বাড়িতে আসা হয়েছে তখন ওর মেয়ে সাদিয়াকে লাশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাদিয়া বলে, আমি আম্মুর মুখ দেখব না। আম্মুর মুখ দেখলে বাবা আমাকে মারবে। বাবা আম্মুর মুখ দেখতে না বলেছে। বাবাই আম্মুকে মেরে ফেলেছে।'
এ ব্যাপারে মাদারীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. শাহজাহান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।