নারীকে বেঁধে মেয়েকে গণধর্ষণ!
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় এক নারীকে বেঁধে রেখে তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই নারী এবং তাঁর মেয়েকে (২৩) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোরে এ ঘটনাটি ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ দাবি করছে, এখানে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক। এরই জের ধরে আজ ভোরে মিজান ও ফজুল হকসহ কয়েকজন জোর করে তরুণীর ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ওই মেয়ের হাত-পা বেধে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন। তার চিৎকার শুনে ওই নারী মেয়েকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন। এরপর নারীকে মারধর করে এবং হাত-পা বেধে ঘরে আটক করে রাখেন দুর্বৃত্তরা। এসময় ওই তারা ওই নারীকে বেঁধে রেখেই তাঁর মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. দেবাশিষ দাস জানান, মেয়েটির পরিবারের দাবি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন করে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, উভয়পক্ষ একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ওসি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে মা-মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।