বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল শুরু
বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রধান সড়কের রাস্তা থেকে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে জেলার সঙ্গে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
পাহাড়ধসের কারণে বান্দরবান-রাঙামাটি এবং রুমা-থানচি অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পর্যটকরা ট্যুরিস্ট স্পট চিম্বুক, নীলগিরি ও বগা লেকে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক অমল দাস জানান, বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের কারণে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বান্দরবানের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের বাজালিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে পানি নেমে গেছে। তাই আজ চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সঙ্গে জেলার সড়ক যোগাযোগ আবার চালু হয়েছে।
পূরবী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসিন জানান, বৃষ্টিতে সড়কে কোমরপানি জমে যাওয়ায় গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এই রুটে কোনো যান চলাচল করতে পারেনি। পানি কমে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে আবারো যান চলাচল শুরু হয়েছে।
বন্যায় বান্দরবানের প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকেও পানি নেমে গেছে। বন্যাদুর্গতরাও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে ঘরে ফিরছেন। তবে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী দুটি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুল হক চৌধুরী জানান, বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে ধসের ঝুঁকিতে পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড়ধস হয়। গতকাল জেলায় পাহাড়ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বহু ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়।