গ্রেনেড হামলার বিচার হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার পর আয়োজিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলার ১১ বছর পার হলেও সেই ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাই তো হামলার স্থানটিতে প্রতিবছরের মতো অস্থায়ী বেদি তৈরি করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। urgentPhoto
উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘মামলার আলামত নষ্ট এবং একজন জজ মিয়া খাড়া করে তদন্ত নাটক করা হয়েছিল। যাই হোক, সেই মামলার বিচার এখন চলছে, সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে। আমরা আশা করি, প্রকৃত আসামিরা নিশ্চয়ই সাজা পাবে। যাঁরা এই হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার এবং আহতরা বিচার পাবেন। এই বিচার হতে হবে। নইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’
‘আমরা কোনো অন্যায় কখনো প্রশ্রয় দেব না। কাজেই অন্যায়কে আমরা মেনে নেব না। সে যেই হোক, যে দলেরই হোক, অন্তত আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে। সেদিন গ্রেনেড থেকে না বাঁচলে আর দেশসেবার সুযোগ না পেলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে যেত কি না সন্দেহ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতা দখল করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান কখনো চাননি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসুক।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-পুত্র তারাও জড়িত। এরা এ দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। মানুষ খুন করেই যেন তারা আনন্দ পায়। খুন করাটাই যেন তাদের চরিত্র। মানুষের কল্যাণ, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এটা তারা চায় না। মানুষের ভালো হোক এটা তারা চায় না, এটা আজ স্পষ্ট সবার কাছে।’
পরে প্রধানমন্ত্রী ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। এরপর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে আওয়ামী লীগ ও এর সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের।