গ্রেনেড হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস : সেতুমন্ত্রী
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা সাধারণ কোনো বিষয় নয়, এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ চলছে, অচিরেই তা সম্পন্ন হবে।
আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কংসনগর বাজারে সড়ক নিরাপত্তামূলক নির্দেশিকা বিতরণকালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
সেদিনের সেই ঘটনা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভি রহমানসহ ২৩টি প্রাণ ঝরে গেল। প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসবিরোধী র্যালিতে এ ঘটনা ঘটানো হয়। ক্ষমতায় তখন কে ছিল? কারা ছিল? তাহলে এটা কি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নয়। বিএনপি বলছে, এটা রাজনৈতিক সন্ত্রাস নয়। তাহলে এটা কী? রাষ্ট্র যে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করে সেটাই তো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দিন যতই যাচ্ছে, ততই সেটা প্রমাণ হচ্ছে। এটা আজকে পরিষ্কার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সুস্পষ্টভাবে এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ সময় হাইওয়ে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোলায়মান মিয়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুমিল্লার উপপরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেলে সেতুমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শন করেন। এখানেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের অর্জন ও ভাবমূর্তি যারা ক্ষুণ্ণ করছে শেখ হাসিনার সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আগামী ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু অতিবৃষ্টি বা ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার যা ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বড় ক্ষতি হয় অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে।
নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত সব ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাইপাস এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কের উন্নয়ন করা হবে। প্রচুর অর্থের বরাদ্দ রয়েছে। ফান্ডের কোনো অভাব নেই। তাই কাজ করতে আর কোনো বাধা নেই।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (কুমিল্লা জোন) প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ শিবিব, জেলা প্রশাসক ড. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় সেতুমন্ত্রী কাজে অবহেলার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল ভট্টাচার্যকে কারণ দর্শানো (শোকজ) করার জন্য নির্দেশ দেন।