বান্দরবানের লালমিয়া এলাকা বিচ্ছিন্ন, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোই ভরসা
ভারি বর্ষণে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বান্দরবান সদরের লালমিয়া এলাকার বাসিন্দারা। শহরের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ পারাপারে বাধ্য হচ্ছে।
জেলা শহরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে লালমিয়া এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন জানান, বর্ষায় ক্যান্ট. পাবলিক স্কুলসহ আশপাশের এলাকার ঝিড়ি ও নালার পানি ড্রেন দিয়ে খালে পড়ে। চলাচলের রাস্তার ওপর দিয়ে পাইপ দিয়ে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় পানি বেড়ে গিয়ে ক্যান্ট. পাবলিক স্কুলের দেয়াল ঘেঁসা সড়কের প্রায় ৩০ ফুট রাস্তা ভেঙে সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে। বাঁশের সাঁকো তৈরি করে সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু বৃষ্টিতে সড়কটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁশের সাঁকোটিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার ও স্কুলছাত্র ফাহিম জানায়, লালমিয়া এলাকায় বসবাসকারী শতাধিক পরিবার বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জীবন যাপন করছে। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় সাঁকো থেকে পড়ে কয়েকজন শিশু আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। নেই রোগীকে দ্রুত চিকিৎসক বা হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানায়, মাটি ধসে যাওয়ায় ক্যান্ট. পাবলিক স্কুলের সীমানা দেয়ালটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর ওপর দিয়ে স্থানীয়রা চলাচলের সময় দেয়াল ধসে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাণহানি ঠেকাতে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা বলেন, ‘চারদফা বন্যায় বান্দরবানে পৌর এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়কসহ পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোও ভেঙে গেছে। সড়ক ভেঙে লালমিয়াপাড়ার বাসিন্দারাও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কারকাজ করা যাচ্ছে না।’ বৃষ্টি বন্ধ হলে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।