জামায়াত-শিবিরের ২৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
দিনাজপুরে পুলিশ পেটানোসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় জামায়াত-শিবিরের ২৩০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে ওই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন ১৩ অক্টোবর।
মামলায় বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামী আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও কামারুজ্জামানসহ জামায়াতের অন্য আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ২ মার্চ দিনাজপুর সদর উপজেলার দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের টেক্সটাইল বাজারে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং যানবাহন ভাঙচুর করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এঁদের হামলায় পুলিশের নায়েক শাহ আলমসহ আটজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা বাদী হয়ে ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে আরো ৫৬ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়ায় আদালতে ২৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল আলম জানান, মামলায় পলাতক রয়েছেন ১৬৭ জন আসামি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ৬৩ জন। এঁদের মধ্যে ৫৫ জন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। আটজন জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলার ৬২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ভুট্টো, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আলহাজ আয়েজউদ্দীন শাহ, শহর জামায়াতের আমির তৈয়ব উদ্দীন, খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মশিউর রহমান রাজু, সেক্রেটারি মতিউর রহমান, সরকারি কলেজ শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মো. আয়তুল্লাহ খোমিনী, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুস সালেহিন তাজ, কেন্দ্রীয় শিবির নেতা মাহবুবুর রহমান পথিক ওরফে ফোটক এবং পার্বতীপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রেজাউর রহমান।