বড়মোদকের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, দাবি বিজিবির
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের গোলাগুলির পর থেকে বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড়মোদক এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিজিবির একটি সূত্র ওই দাবি করে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ও বিজিবির কম্বিং অপারেশনের পর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে গিয়ে গভীর জঙ্গলে আত্মগোপন করেছে। বড়মোদকের পুরো এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ওয়ালিউর রহমান জানান, থানচির বড়মোদক এলাকা পুরোটাই বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল আরো জোরদার করা হয়েছে। বিওপিগুলো সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
বড়মোদক, ইয়াংরাই, দলিয়ানপাড়াসহ আশপাশের বিওপিগুলোতেও বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত কয়েক প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল যেখানে গোলাগুলি হয়েছে, আজ সকালে সেখানে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
গতকাল বুধবার থানচি উপজেলার বড়মোদক এলাকায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিজিবির গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবির নায়েক জাকির গুলিবিদ্ধ হন। অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ ১০ বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়া বিজিবির নায়েক জাকির চট্টগ্রাম সিএমএইচএ এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিজিবি ১০টি ঘোড়া আটক করে। এর পরই মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) বিজিবির ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করে। আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা তাদের মালামাল, অস্ত্র ও চোরাচালান সামগ্রী বহন করার জন্য এই ঘোড়াগুলো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে এসেছিল বলে ধারণা করছে স্থানীয় লোকজন। এই ঘোড়াগুলো আটকের পর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা গুলির ঘটনা ঘটিয়েছিল।