জেএমবির বোমা হামলা, খাগড়াছড়িতে ১৫ জনকে যাবজ্জীবন
খাগড়াছড়ির তিনটি স্থানে একযোগে বোমা হামলার দায়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেল ৪টায় খাগড়াছড়ির জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য এ আদেশ দেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সদর থানায় জিআর ১৯৩/০৫ দায়ের করা হয়। এই মামলার ১৬ আসামির বিরূদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় ২০০৬ সালের ৬ মার্চ। এই মামলায় বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ সর্বমোট ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। নয়জন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলা চলাকালে সাতজন দোষ স্বীকার করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, নয়জন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি, সাতজনের দোষ স্বীকারোক্তি এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৬ আসামির মধ্যে পলাতক বেলাল হোসেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩, ৪ ও ৬ ধারায় দণ্ডিত করা হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের ৩ ধারায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জানমালের ক্ষতি ও ৬ ধারায় সহায়তার জন্য প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড, ৪ ধারায় বিস্ফোরক প্রস্তুত ও মজুদের জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট বিধান কানুগো।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের বিভিন্ন জেলায় একসঙ্গে খাগড়াছড়ির মুক্তমঞ্চ, আদালত প্রাঙ্গণ ও হাসপাতাল এলাকায় সিরিজি বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি।