কড়া নিরাপত্তায় খাগড়াছড়িতে তপন জ্যোতির শেষকৃত্যানুষ্ঠান
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে নিহত ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান খাগড়াছড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর থানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় বর্মা ও তাঁর সহযোগী প্রণব চাকমা ওরফে তনয়ের মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকায় নেওয়া হয়। এ সময় স্বজন ও সমর্থকদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। পাশাপাশি ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও জনসংহতি সমিতি এমএন লারমার পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে নীরবতা পালন করা হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত সমাবেশে জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা পক্ষের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা ইউপিডিএফের প্রসিত বিকাশ খীসার পক্ষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করে আইনের আওতায় এনে বর্মা হত্যাকাণ্ডসহ পাহাড়ে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় নেতা শক্তিমান চাকমা। তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নানিয়ারচরের বেতছড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজন নিহত ও আটজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
শুক্রবার রাতেই নিহত পাঁচজনের ময়নাতদন্ত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়। রাতে তিনজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও নিরাপত্তার জন্য তপন জ্যোতি ও তাঁর সহযোগী প্রণব চাকমার লাশ খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়। নিহত মাইক্রোবাস চালকের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালে, মহালছড়িতে সেতু লাল দেওয়ান ও সুজন চাকমার এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ও প্রণব চাকমার মরদেহ তেঁতুলতলা এলাকায় দাহ করা হয়।