পদ্মায় নাব্যতা সমস্যা নেই : নৌমন্ত্রী
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের কাওরাকান্দি নৌপথে পদ্মা নদীতে নাব্যতা সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তাঁর মতে, তীব্র স্রোতের কারণে দুর্বল শক্তির ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট ও কুমারভোগে পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলামসহ দুটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা স্পিড বোটে করে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মায় নাব্যতা সমস্যা নেই। নদী এখনই ফেরি চলাচলের উপযোগী। কিন্তু পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল করতে পারছে না। দুটি ফেরি ছাড়া অন্য ফেরিগুলোর তীব্র স্রোত অতিক্রম করে চলার শক্তি নেই।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া চীনের মেজর ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড এত দিন নদীতে খননকাজ শুরু করতে পারেনি। আশা করি আজ তারা তাদের শক্তিশালী বড় ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কাজ শুরু করবে। নইলে আগামী কাল থেকে কাজ শুরু করবে।’
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ বলেন, ‘নৌপরিবহনমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, চ্যানেলে এখন যে ডিরেকশনে কাটা হচ্ছে সেটার কিছুটা পরিবর্তন করবেন। উনি নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে সাথে যেই চরটা পড়েছে, চরের যে মাথাটা বের হয়েছে, সেই মাথাটা কাটার বন্দোবস্ত করলে কিছুটা প্রশমিত হবে। ভাঙন একেবারে বন্ধ হবে বলে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। কারণ এগুলো স্টাডির ব্যাপার। তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে যাতে ভাঙনটা আরো কমে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিছু জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করব।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগ মাওয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন, মুন্সীগঞ্জের এডিসি ফজলে আজিম, লৌহজং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার কালন, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, শ্রীনগর সার্কেল এএসপি মো. সামসুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লৌহজংয়ের হলদিয়া ও কুমারভোগ ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে পদ্মার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। শত শত লোকজন হঠাৎ মন্ত্রীকে ঘটনাস্থল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় সেতুমন্ত্রী নদী ভাঙনকবলিত খরিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবার ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী ও নৌমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।