ময়মনসিংহে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পুলিশ ভণ্ডুল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ চারজনকে আটক করে। এ ঘটনায় ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
আজ মঙ্গলবার বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির তিন অংশের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা কর্মসূচির পালনের ঘোষণা দেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি দাবিদার লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু ঈশ্বরগঞ্জ শহরের কাঠগোলা মৎস্য বাজারে, সাবেক সংসদ সদস্য ও আরেকটি অংশের সভাপতি দাবিদার শাহ নুরুল কবীর শাহীন চরনিক্ষোলা গ্রামে এবং সাধারণ সম্পাদক দাবিদার ফরিদ উদ্দিন পৌর এলাকার গোহাটা বাজারে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে।
বিকেলে সাড়ে ৫টার সময় সমাবেশ শেষে মাজেদ বাবুর নেতৃত্বে শোভাযাত্রার নামে জঙ্গি মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে এ অংশের নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি ও পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চারটি শটগানের গুলি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান ওসি।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটা করেছে। এ সময় চার সমর্থককে আটক করে নিয়ে যায়। এঁরা হলেন- রুহুল আমীন, বিল্লাল হোসেন, বকুল ও রেজ্জাক। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন পাঁচ-ছয়জন নেতা-কর্মী।
এ দিকে চরনিক্ষোলা গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবীর শাহীন সভা করার সময় পুলিশ সেখানে অতর্কিতে চড়াও হয়। এ সময় দেয়াল টপকাতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন নেতা-কর্মী।
এ বিষয়ে জানতে শাহ নুরুল কবীর শাহীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন অভিযোগ করেন, পৌর এলাকার গো-হাটা বাজারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা ভণ্ডুল করে দেয় পুলিশ।
এ সব বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাইলে ওসি মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ভাই অপারেশনে ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’