তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি শহর, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও দীঘিনালা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার চেঙ্গী নদীর দুই কুল উপচে খাগড়াছড়ি শহর, শহরতলী ও আশপাশের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধস দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এলাকার লোকজনদের সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বড় ধরনের পাহাড়ধসের খবর পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক জানান, খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় সাড়ে ৩০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম জানান, পৌর শহরে আটটি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং তিন হাজার মানুষকে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর শহরে আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে দুর্গতরা। ছবি : এনটিভি
আজ বেলা ১১টার দিকে শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা এবং আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাঠি, গোলাবাড়ি, কমলছড়ি, কালাডেবা, খবংপুড়িয়া ও সিঙ্গিনালার কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে চার শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে উপজেলার ছোটমেরুং এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
সড়কে পানি উঠায় দীঘিনালা-মেরুং-লংগদু সড়ক এবং খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খাগড়াছড়ি-রামগড়-ফেনী সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি ঢুকে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।