খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে, রামগড় ও দীঘিনালা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
এ ছাড়া দীঘিনালায় উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুই উদ্ধারকর্মী অনুপম চাকমা ও সিকা চাকমাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
বন্যায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সহস্রাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। খরস্রোতা ফেনী ও মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্মরণকালের ভয়াবহ এই পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি শহরের দুই-তৃতীয়াংশ, রামগড় ও মহালছড়ির বিস্তৃত অঞ্চল এবং দীঘিনালার মেরুং বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েকশ পুকুরের মাছ।
আকস্মিক এই বন্যায় ব্যবসায়ীদের গুদাম ডুবে যাওয়ায় চালসহ বিভিন্ন মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
রেড ক্রিসেন্ট ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে আটকেপড়া লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন।
পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন।
এদিকে, সড়কে পানি ওঠায় দীঘিনালা-মেরুং-রাঙামাটির লংগদু সড়ক এবং খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খাগড়াছড়ি-রামগড়-ফেনীতেও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
শরণার্থী পুনর্বাসনবিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম জানান, পৌর শহরে আটটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং তিন হাজার মানুষকে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।