খাগড়াছড়িতে চার সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও রামগড় উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে জেলার দীঘিনালার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চার সহস্রাধিক পরিবার এখনো পানিবন্দি এবং বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে তিন সহস্রাধিক পরিবার অবস্থান করছেন। দীঘিনালা উপজেলার ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রের দেড় হাজার পরিবারের কেউ বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় খরস্রোতা ফেনী ও চেঙ্গী নদীর পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাস্তার ওপর থেকে পানি সরে না যাওয়ায় দীঘিনালা মেরুং লংগদু সড়ক ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফটিকছড়ি-নাজিরহাট এলাকায় রাস্তার ওপর পানি উঠে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, দুর্গতদের জন্য জেলায় ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পৌর এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভার মাধ্যমে এবং অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দুই বেলা খাবার ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দুই বেলা খাবারসহ আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২১ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রামগড়ের নাকাপা এলাকায় রাস্তার ওপর পাহাড় ধসে পড়া মাটি অপসারণ করেছে সড়ক বিভাগ। এ ছাড়া জেলার আলুটিলা, সবুজ বাগ, শালবন, কুমিল্লা টিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি আরো অবনতির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্বুদ্ধ করছে প্রশাসন। প্রয়োজনে জোর করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা সদর দীঘিনালা উপজেলায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও দুর্গত মানুষের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।