‘ঝগড়া’র সময় মারা গেলেন যুবলীগ নেতা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ‘ঝগড়া’ ও ‘কথা কাটাকাটি’র সময় আল আমিন (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতা মারা গেছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে। উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের জন্য উপজেলা পরিষদের হলরুমে সভা আহ্বান করেছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই সভাতেই কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে (হার্ট অ্যাটাক) মারা গেছেন আল আমিন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন সুচিন্ত চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে আল আমিনের মৃত্যুর কারণ।
আল আমিন প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি। জানা যায়, বাবা আতর আলীর মৃত্যুর পর আল আমিন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান জানান, সদ্যপ্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়ার শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের জন্য আজ বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান করা হয়। সভায় দলীয় প্রার্থী কীভাবে মনোনয়ন করা হবে তা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগ নেতা আল আমিন হার্টের রোগী ছিল। ঝগড়া চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে আল আমিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।’
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, ‘আল আমিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।’ তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক শিউলীর বরাত দিয়ে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল আমিনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। কীভাবে আল আমিনের মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই বলা যাবে মৃত্যুর কারণ।’