লাখো মানুষের পদচারণে মুখরিত প্রাণের মিনার
রাত ফুরালো না ভোরের আলো দেখা দিল, সেটা তেমন মাথায় নেই। একুশের প্রথম প্রহর থেকেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ মিনার। আর ভোরের আলোয় চোখে পড়ে প্রহর ফেলে আসা আবেগ আর নতুনের আগমন। ঠিক পূর্ব দিক যখন জানান দিতে থাকে নতুন প্রভাতের, তখনই বাড়তে থাকে নতুন নতুন প্রভাতফেরি। আর প্রভাতের মিষ্টি আলোয় লাখো কণ্ঠে ভাসতে থাকে একটিই সুর, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’
ভোরের আলোর দেখা মেলে অনেক মানুষের ভিড়ে। লাখো খালি পা এখন ছুটছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। মিরপুর থেকে, উত্তরা থেকে, যাত্রাবাড়ী থেকে, ওয়ারী কিংবা সিদ্দিক বাজারের পুরোনো গলি থেকে প্রভাতফেরি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে ঐতিহাসিক এ স্থানটিতে। কোত্থেকে আসেনি মানুষ? যেন সব মানুষ আজ প্রভাতফেরি হয়ে ফুলের স্পর্শ দিচ্ছে আমাদের ভালোবাসার শহীদ মিনারে। আমাদের গর্বের শহীদ মিনারে।
ভোর থেকে বেশি আসছে শিশু-কিশোরের দল। কেউ বা নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে, কেউ বা বাবা-মা-স্বজনদের সঙ্গে। লাখো মানুষের পদভারে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে আমাদের এ প্রতিবাদের স্মারক শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসেছেন। বাদ যাননি বয়স্করাও। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজ নিজ ব্যানারে শ্রদ্ধা অর্পণ করতে এসেছেন শহীদ মিনারে।