চরফ্যাশনে আগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৩৫ দোকান, আহত ১৫
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরের কাপুড়িয়াপট্টিতে আগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৫টি দোকান পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় চরফ্যাশন উপজেলা শহরের কাপুড়িয়াপট্টি রোডে আগ্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেলিম ব্রাদার্স নামের একটি চটের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুরু করে। ছুটে আসে আশপাশের শত শত মানুষ। খবর পেয়ে চরফ্যাশন, ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এক এক করে অন্তত ৩৫টি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আলামিন, মো. জাকির হোসেন, বাবুল হোসেন ব্যাপারী, ইমাম হোসেন, ইয়াসীন, আল আমিন, মো. সবুজ, ডা. বনি আমিন ও মঞ্জুসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোটি কোটি টাকার মালামাল উঠিয়ে দোকানে রেখেছিলেন। এর মধ্যে কাপড়, ফার্মেসি, মুদি, চালের আড়তসহ ৩৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারো মতে সরকারি সাহায্য না পেলে ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
মেসার্স রাসেল ট্রেডার্সের মালিক মোতাহার সিকদার মোস্তফা জানান, বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চোখের সামনে দোকান পুড়তে দেখলেও তাঁর কিছুই করার ছিল না। তাঁর অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল দোকানে।
অপরদিকে রওশন হোমিও হলের মালিক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ফার্মেসিতে কয়েক লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম জানান, সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি চটের দোকান থেকে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। চারটি ইউনিটের প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টার পর ভোর সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।