নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের জাতি ক্ষমা করবে না : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু মানসিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা নিয়েই আমরা বেশি চিন্তিত। এর দায়-দায়িত্ব ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি পালনকারী ২০ দলকেই নিতে হবে।’
আজ শনিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনের লনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাসের কাঠগড়ায় সবাইকেই একদিন দাঁড়াতে হবে। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের জাতি ক্ষমা করবে না।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন নিয়েই এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশে হরতাল-অবরোধ ডেকে ২০ দল ব্যাপক সহিংসতা ও জ্বালাও পোড়াও করেছে। প্রাণ হারিয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। দেশের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। সব জায়গায় ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়াই সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
হরতাল-অবরোধ বন্ধ করে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়ার হাইকোর্টের রুল বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা এখনো মন্ত্রণালয়ে আসেনি। সময়সূচি পরিবর্তন করে হলেও সুবিধাজনক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্তত ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাকি পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার সুযোগ করে দিন।
হরতাল-অবরোধের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্তত পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর দিকে তাকিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ করার দায়িত্ব দলমত নির্বিশেষে সবার।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিবসহ মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।