স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া যাবে না
স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানরা মেধাবী হলেও তাঁদের সরকারি চাকরি দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংক বীমাসহ তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকারের অনুকূলে নিয়ে আসতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শ্রমিক-কর্মচারী, পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে সমাবেশটি আয়োজন করা হয়।
নৌমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা যদি সরকারি চাকরি পায়, তাহলে তারা দেশ ও স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করবে। আবার অনেকেই সরকারি চাকরিতে থেকেও সরকারের বিরোধীতা করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে শাজাহান খান বলেন, গোটা জাতি যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখায়, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে কথা বলেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। যে শিক্ষকরা এই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন, তাঁরা কি স্বাধীনতার বিপক্ষে? তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন হচ্ছে তা ষড়যন্ত্রমূলক। এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের হবিগঞ্জ জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমান্ডার সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদ খান, নাট্য ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন জিতু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী।