থানচিতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের খোঁজ মেলেনি
বান্দরবানের থানচিতে সাঙ্গু নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ বিজিবির সদস্য জুয়েল রানা (২৪) খোঁজ এখনো মেলেনি। চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলীমুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য এবং খুয়ে যাওয়া অস্ত্র-গুলির সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি জেলেরাও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত নিখোঁজ বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করা যায়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান-৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী, বান্দরবান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার অলিউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিখোঁজ বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার পরিবার চুয়াডাঙ্গা থেকে বান্দরবান এসে পৌঁছেছেন।
বিজিবি সেক্টর কমান্ডার অলিউর রহমান জানান, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে সাঙ্গু নদীতে প্রবল স্রোত এবং নদীতে অনেক পাথর থাকায় উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার থানছি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে ১০টি নৌকাযোগে অভিযানে যায় বিজিবির ৭৭ সদস্যের একটি দল। বড় মদক থেকে থানছি উপজেলা সদরে ফেরার সময় প্রবল স্রোতে তিন্দু ইউনিয়নের বড় পাথর এলাকায় একটি নৌকা উল্টে যায়।
এতে নৌকায় থাকা সাত সদস্যের মধ্যে ছয়জন উঠতে পারলেও বিজিবি সদস্য জুয়েল রানা (২৪) নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নৌকা থেকে বিজিবির দুটি অস্ত্র এবং ১২০টি গুলিও নদীতে হারিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড় মদক এলাকায় বিজিবির একটি টহলদলের ওপর মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরাকান আর্মির সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।