বান্দরবানের অভ্যন্তরীণ তিন সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত
বান্দরবানের আমতলীপাড়া এলাকায় একটি বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় জেলার অভ্যন্তরীণ তিনটি সড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সেতুর এপার-ওপার বাস বদল করে গন্তব্য যাচ্ছে যাত্রীরা।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বেইলি সেতুটি দেবে যায়।
এ ব্ষিয়ে জানতে চাইলে কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সানুপ্রু মারমা জানান, বৃষ্টিতে ঝিড়ির পানি বেড়ে গিয়ে বেইলি সেতুর এক পাশের মাটি ধসে যায়। এতে সেতুর একপাশ দেবে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সেতুর দুই পারে গাড়ি বদলের মাধ্যমে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের যাত্রীরা চলাচল করছে।
রাঙামাটি পরিবহনের স্টেশনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহন মল্লিক জানান, বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল চালু রয়েছে। আমতলী এলাকায় বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় যাত্রীদের ঝুকিপূর্ণ সেতুটি পার হয়ে আরেকটি গাড়ি বদলাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা ও থানছি উপজেলা সড়কেও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নীলগিরি সড়কের ৯ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক বৃষ্টিতে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় গত বৃহস্পতিবার থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি প্রকৌশল বিভাগ।
এ বিষয়ে পরিবহনশ্রমিক শামসুল ইসলাম জানান, বান্দরবান থেকে পর্যটক নিয়ে সরাসরি নীলগিরি-চিম্বুক যেতে পারছেন না তিনি। নয় মাইলে ধসে যাওয়া সড়কের এপাড় পর্যন্ত গিয়ে হেঁটে ওপারে গিয়ে গাড়ি বদলের মাধ্যমে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দাররা চলাচল করছে। সরাসরি রুমা এবং থানছি উপজেলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
থানছি ইউপি চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো জানান, থানছি উপজেলা সড়কের নয় মাইল এলাকাসহ ৮৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দুটি গাড়ি বদলের মাধ্যমে যাত্রীরা চলাফেরা করছে।