খাগড়াছড়িতে সোমবার আধা বেলা অবরোধের ডাক
দোকানপাট বন্ধ ও স্বনির্ভর এলাকায় হামলার প্রতিবাদে খাগড়ছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় স্থানীয় গ্রামবাসী আজ শনিবার প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত চন কুমার চাকমা (৫৫) বিকেল ৩টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে স্বনির্ভর বাজার ও পেরাছড়া এলাকায় হামলার ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমাসহ সাতজনের মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামী ২০ আগস্ট সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আধা বেলা সড়ক অবরোধ ডেকেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন সংগঠন।
সন্ধ্যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সমর চাকমার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২২ আগস্ট মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ উৎসব ও সরকারি ছুটির কথা বিবেচনা করে এই সংক্ষিপ্ত অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অবরোধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, রোগী বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি বিদ্যুৎ-পানি ও ওষুধ সরবরাহকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার স্বনির্ভর বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ছয়জন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরো তিনজন।
নিহতরা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ- প্রসিত খিসা) সদস্য বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এম এন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন।
যদিও এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেএসএস-এম এন লারমার নেতারা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এলটন চাকমা, রুপম চাকমা, চা বিক্রেতা বিধান চাকমা, মহালছড়ি উপজেলার সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জিতায়ন চাকমা ও পথচারী ধীরাজ চাকমা।
আহতরা হলেন সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরণ চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)। এই তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।