খাগড়াছড়িতে ছয় হত্যা, আসামিরা অজ্ঞাতপরিচয়
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু জানান, পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করে। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম চন্দ্র সরকার এ মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার সকালে স্বনির্ভর বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ছয়জন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরো তিনজন।
নিহতরা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসিত খিসা) সদস্য বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এম এন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন।
যদিও এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেএসএস-এম এন লারমার নেতারা।
এদিকে, দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমাসহ দলীয় নেতাকর্মী ও পথচারীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এ অবরোধের ডাক দেয়।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সব সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো পুলিশি প্রহরায় খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করে। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে শহর, শহরতলির কোথাও অবরোধ আহ্বানকারীদের দেখা যায়নি।
অবরোধে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু।
এরই মধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছেন। তবে ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ। বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে ওই সংগঠন।