খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ঝোলানো হলো নিহতদের নামের তালিকা
হরতাল, অবরোধ ও নাশকতা বন্ধের দাবিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল।
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ঘেরাওয়ের উদ্দেশে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে জড়ো হয়। এ সময় তাঁরা হরতাল ও অবরোধবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য তারানা হালিম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন গোঁসাই, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী, গাজী রাকায়েত, তুষার খান, রহমত আলী, সাজু খাদেম, অভিনেত্রী স্বাগতা, জয়শ্রী কর জয়া, চিত্রনায়িকা নিপুণ, অরুণা বিশ্বাস, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব ডা. শারফুদ্দীন আহমেদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে এক ঘণ্টা অবস্থান শেষে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। মিছিলটি গুলশান কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। এ সময় অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চার ব্যক্তি এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত ৫৪ জন মানুষের নামের একটি তালিকা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন। পরে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে চলে যান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, ‘ব্যাপারটি খুব স্পষ্ট।...দেড় মাসের অধিককাল ধরে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আশা বা প্রত্যাশার প্রতিভাত হয় না। তারা এগুলোর বিরুদ্ধে। এটা সামান্য কিছু মানুষ করছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে নয়, যারা পাকিস্তান বানাতে চায় এবং যারা বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক দেশ বানাতে চায়।’