‘পতনের প্রহর গুনছে সরকার’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধ’ সরকার স্বীকৃতি ও সহানুভূতি আদায়ের প্রত্যাশা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বর্তমানে তারা নির্মম পতনের প্রহর গুনছে।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ দাবি করেন। তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমান সরকার বিতর্কিত ও ভোটারবিহীন নির্বাচন থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটকে জঙ্গিবাদের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাস করাতে ব্যর্থ হয়ে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের হত্যাযজ্ঞে নেমেছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, গত শুক্রবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ছাত্রনেতা টিপু হাওলাদার ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের (জাসাস) নেতা কবির হোসেনকে ঢাকা থেকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের আগৈলঝাড়ায় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়। এতে বলা হয়, বিএনপি এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে পটপরিবর্তন হলে এসব হত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ উপযুক্ত আদালতে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে দলটি।
আন্দোলনে নিহতদের জাতীয় বীর ঘোষণা করা হবে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চলমান আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে। তাঁদের পরিবার ও সন্তানদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা হবে। আন্দোলনে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁদের জাতীয় সম্মানসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা হবে। তাঁদের এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
জয়কে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে হবে
সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘রাজনীতির নাবালকত্ব শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, জয়ের উচিত বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা।
সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের হাতিয়ারে পরিণত করেছে বলে দাবি করেছেন সালাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ক্রসফায়ার, গুপ্তহত্যা, গুম-অপহরণ, গণগ্রেপ্তার ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত করেছে সরকার। কিন্তু এসব করে গণ-আন্দোলন দমানো যাবে না।
বিবৃতিতে চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে ২০-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।