ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ
পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারের পাঁচপাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ অহেদ হাওলাদার (৪৫) ও মুহিদুল ইসলাম (৫০) নামের দুজনকে আটক করেছে।
শিকদারমল্লিক ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখর চন্দ্র মণ্ডল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পাঁচপাড়া বাজারে সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান ছিল। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরই ইউপি চেয়ারম্যান মামলার বাদী ও সাক্ষীকে জিম্মি করে মামলা খারিজ করিয়ে নেন। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন মন্দিরের অবকাঠামো ভাঙচুর করে এবং মন্দিরের প্রতিমা পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
পিরোজপুরে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। ছবি : এনটিভি
পাঁচপাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের সভাপতি সুবাস চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম। নিজের লোকজন দিয়ে তিনি মন্দির উচ্ছেদ করার জন্য মন্দিরে হামলা চালিয়েছেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
এএসপি মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর পরই দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।