হবিগঞ্জে সত্যজিৎ হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সত্যজিৎ হত্যা মামলায় অরবিন্দু দাশ (২৯) নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য আটজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেন এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নবীগঞ্জের চৌকি গ্রামের অনীল দাশ (৪২) ও তাঁর ভাই সুনীল দাশ (৪৮), একই গ্রামের নীরেশ দাশ (২৫), সুবেন্দ দাশ (২৫), প্রদীপ দাশ (৪০), নেপাল দাশ (২৮), বিপুলা রাণী দাশ (৫৫) ও তাঁর ছেলে মলয় দাশ (৩২)।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বানিয়াচং উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের প্রবাসী নকুল দাশের ছেলে সত্যজিৎ দাশ (১৪) চৌকি গ্রামে কীর্তন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের চারদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীপুর গ্রামের শ্মশানের পাশের ডোবা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের পরের দিন সত্যজিতের বোন অলিকা রাণী দাশ বাদী হয়ে অরবিন্দু দাশসহ নয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
পরে ২০০৯ সালের ১৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মার্কুলী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক নয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৯ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অরবিন্দু দাশকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। অন্য আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হবিগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষের পরিবারও সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবালসহ কয়েকজন আইনজীবী।