খাগড়াছড়িতে সালমা হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় গৃহবধূ সালমা আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মিজানুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুর আগে নিহত সালমার জবানবন্দি ও স্বাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত মিজানুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩-এর ১১-এর (ক) ধারায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রায়ে নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সালমার ভাই ও মামলার বাদী মো. নুরুজ্জামান।
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকায় যৌতুকের দাবিতে মিজানুর রহমান তাঁর স্ত্রী সালমা আক্তারকে (২০) ঘরের সামনে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সালমার শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যায়। এ ঘটনার পাঁচ মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালমার মৃত্যু হয়। পরে নিহত সালমার বড় ভাই মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে গুইমারা থানায় মামলা করেন।
২০১৫ সালের ১ জুলাই পুলিশ সালমার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চার বছরের মাথায় আদালত এ রায় দেয়।