ডিসিসি নির্বাচন করতে সরকারের অনুরোধ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকেলে চিঠিটি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেসব বাধা ছিল তার সুরাহা হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. মোমিনুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজকেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠিটি নির্বাচন কমিশনে বিশেষ দূত মারফত পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্রুত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এতদিন ধরে ইলেকশনটা ফেলে রেখেছেন কেন?’ তিনি এই নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের তাগিদ দেন এবং নির্বাচনের প্রার্থী নিয়েও আলোচনা করেন।
২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন)(সংশোধনী বিল), ২০১১ পাসের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশন। এরপর ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এরপর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দুই অংশের জন্য দুই প্রশাসন নিয়োগ দেয় সরকার, যাঁদের মেয়াদ ১৮০ দিন। ফলে দীর্ঘ সময় নির্বাচন না হওয়ায় দফায় দফায় বদল হয়েছেন প্রশাসকরা।
পরদিন নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, সীমানা নির্ধারণের গেজেট হাতে পাওয়ার পর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হবে। পাবলিক পরীক্ষা ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই তফসিল ঘোষণা করা হবে।