সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন আগে মেমোরি কার্ড কেনাবেচা নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থক টুকু সর্দারের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুদ্দীন মেম্বারের সমর্থক লাল মিয়ার কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ সকাল ৭টার দিকে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
টানা তিন ঘণ্টার এই সংঘর্ষে আলী মাতুব্বর, দুলাল মাতুব্বর, খালেক মোল্যা, রাসেল শেখ, মজিবর রহমান, আফছার উদ্দীন, কামাল, শুকুর, জামাল, আবুল হোসেন, বাতেন, কবির, শাহজাহান, চাঁন মিয়া, মফি শেখ, সুমনসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের সময় ১০-১২টি ঘর ভাঙচুর করা হয়। সালথা থানা পুলিশ ফরিদ শেখ (৩২), মঙ্গল মোল্যা (৩৮), রাশেদ (৩৮), ইছাহাক (৩২), ওহিদ খান (২২), আর্শেদ (৩৫), রাকিবুল (২৮), নবীন শেখ (৩০), বাবুল মাতুব্বর (২৫), অপু শেখ (১৮), ছালাম মাতুব্বর (৫০) ও বতু শেখকে (২৫) আটক করেছে।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। মূলত দুটি গ্রুপের বিরোধের জের ধরেই এ সংঘর্ষ। তবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো মামলা দায়ের হয় নাই।’
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, দুই গ্রুপের বিরোধ অনেক দিন ধরেই চলে আসছিল। সংগঠনে পদপদবি নিয়ে এ রেষারেষি চলছিল বলেও জানান তিনি।