নিরাপত্তা উদ্বেগ, থানচি ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। দর্শনীয় স্থানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বান্দরবান সেক্টরের কমান্ডার অলিউর রহমান জানান, বৃষ্টিতে থানচির দর্শনীয় স্থান নাফাকুম ঝর্ণা, রেমাক্রী, বড়পাথরসহ বিভিন্ন স্পট পিচ্ছিল হয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নৌকাডুবির ঘটনায় বিজিবি সদস্যও মারা গেছেন। এ ছাড়া বিজিবি ক্যাম্পেও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো চিন্তা করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছাড়পত্র পাওয়ার পর বিজিবি ক্যাম্পে নাম-ঠিকানা লিখিত আকারে দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুল হক চৌধুরী জানান, পর্যটকদের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে থানচিতে পর্যটকদের অবাধ যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে এটি সাময়িক পদক্ষেপ। তিনি আরো জানান, সাঙ্গু নদীর পানি কমে গেলে এবং সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠলেই পর্যটকরা অবাধে থানচি ভ্রমণ করতে পারবেন। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর নীতিমালা অনুসরণ করে থানচির দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের কোনো বাধা নেই।
এদিকে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর এ সিদ্ধান্তে উপজেলার রেমাক্রী জলপ্রপাত, তীন্দ্র বড়পাথর, নাফাকুম ঝর্ণা, বাদুরগুহা, বড় মদক, ছোট মদকসহ দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে যাওয়া পর্যটকদের ফিরে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মংব্রাচিং মারমা জানান, থানচিতে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় দেখা যাচ্ছে। ভ্রমণে আসা পর্যটকরা দর্শনীয় স্পটগুলো দেখতে যেতে না পেরে জেলা সদরের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
থানচির বলিপাড়া বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতামূলকভাবে থানচি ভ্রমণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি স্থায়ী কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। নদীতে পানি কমে গেলে এবং দর্শনীয় স্থানগুলো নিরাপদ হয়ে উঠলে পর্যটকরা অবাধে ভ্রমণ করতে পারবে।