বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন
বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী মো. ইলিয়াছ আলীকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, মিয়ানমার থেকে সপরিবারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবার বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পানবাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বজলুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিল। ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলীকদমের পানবাজার এলাকায় স্বামী মো. ইলিয়াছ আলীর সঙ্গে স্ত্রী খুরশিদা বেগমের (২৩) বাগবিতণ্ডা ও ঝগড়া হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে খুরশিদার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ইলিয়াস। হত্যার পর লাশ সেগুন বাগান এলাকায় নির্জন স্থানে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনতা ইলিয়াছকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটকের পর ইলিয়াছ পুলিশ ও আদালতের কাছে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক বজলুর রহমান বাদী হয়ে আলীকদম থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ইলিয়াছকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজের পেশকার বেদারুল আলম জানান, যাবজ্জীবন সাজার আদেশ পাওয়া ইলিয়াছের বাড়ি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বগলী জেলার কেয়ানন গ্রামে। তিনি সপরিবারে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী খুরশিদা বেগমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ঝগড়ার একপর্যায়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।