নরসিংদীতে প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে হত্যা
নরসিংদী শহরে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের বকুলতলা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ বলছে, মোবাইল ছিনতাইয়ের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত শাহ আলম (২৮) এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মাদকের আস্তানা হিসেবে পরিচিত বকুলতলা। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে হরহামেশাই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ ইসলাম ও শাহজাহানের লোকজন। নিহত শাহ আলম শাহজাহানের ভাই।
নিহত শাহ আলমের বাবা কাশেম মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইসলাম গ্রুপের সদস্য মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল আমার ছেলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়। এতে বাধা দেওয়ায় জুয়েল, রুবেল মাসুদ, ইবলি, সনেট, ইয়াসিন আমার ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।’
কাসেম মিয়া দাবি করেন, ইসলামের লোকজন শাহ আলমকে তাদের অধীনে মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে রাজি না হওয়ায় তারা শাহ আলমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এর জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে ৫টার দিকে ইসলামের পক্ষের জুয়েল শাহ আলমের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শাহ আলমের লোকজন দলবল নিয়ে জুয়েলকে ধাওয়া দেয়।
পরে জুয়েল তাঁর সহযোগী রুবেল মাসুদ, ইবলি, সনেট, ইয়াসিনসহ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে শাহ আলমকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। অস্ত্রের আঘাতে শাহ আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাঁর মাথা ও পায়ে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আবুল কাশেম এনটিভি অনলাইনকে জানান, জুয়েল, সনেট, ইয়াসিন, নিহত শাহ আলম পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের একটি মোবাইল ফোন শাহ আলম নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনটি আনতে গেলে এক পক্ষের সঙ্গে প্রতিপেক্ষর বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে শাহ আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।