আবার বাড়ল হরতাল
আবার বাড়ল ২০-দলীয় জোটের হরতাল। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধের পাশাপাশি হরতাল ছিল। সেটিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটটি।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জেলা-উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও সব মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।
বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের পক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো ভয়াল ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। সরকার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে সমগ্র দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। সরকারি গুপ্তঘাতক পেটোয়া পুলিশ-র্যাব বাহিনী প্রতিনিয়তই বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বসতবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করার পর রাস্তাঘাটে, মাঠে-ময়দানে, খালে-বিলে, ক্ষেতে-খামারে লাশ ফেলে রেখে গ্রেপ্তারের দায়িত্ব অস্বীকার করছে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকার মিরপুর ও ঝিনাইদহে ছয়জনের গুলিবিদ্ধ লাশের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও পুলিশ বলছে, তারা গণপিটুনিতে মারা গেছে। নিহতদের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, কয়েক দিন আগেই পুলিশ তাদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে তাদের টেলিফোনে কথা হয় এবং তাদের কাছে পুলিশ টাকাও দাবি করে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘মিরপুরে নিহত অপর তিনজন জুয়েল, সুমন ও রবিনের গায়ে ৫৪টি গুলির চিহ্ন পাওয়ার পরও পুলিশের দাবি, গণপিটুনিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বরাবরের মতো এসব জঘন্য গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পটপরিবর্তন হলে এসব গণহত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য উপযুক্ত আদালতের আওতায় আনা হবে।’
বিবৃতিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছে ২০ দল।
দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে গত ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। দলটি ওই দিন পতাকা মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে নির্ধারিত সমাবেশ করতে যেতে পারেননি। প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে দলের গুলশান কার্যালয় থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এর পর থেকে কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৭২ ঘণ্টা করে ঘোষণা দিয়ে টানা হরতাল চলছে।