দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর দরকার হলে তাও নির্মাণ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পদ্মা সেতু বানানো শেষ হলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় অবশ্যই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জানে কিভাবে দেশকে উন্নত করতে হবে। অনেক কিছু করে দিয়েছি যা আপনারা কখনো চিন্তাও করেননি, দাবিও করেননি। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই। শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়, আজকে যে শিশুটি জন্ম নেবে সেই শিশু যেন আগামীতে একটি সুন্দর পৃথিবী পায়, আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়েছি।
২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করব আমরা। ২০২১ সালে শুধু মধ্যম আয়ের দেশ নয়, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। ২০৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবো। আজকের শিশু কিশোররা সমৃদ্ধশালী একটি দেশে এই উৎসব উদযাপন করবে। সুন্দর জীবন তারা পাবে। ২১০০ সালে ডেল্টা প্লানের মাধ্যমে আমরা দেশকে আরো উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবো। ইতোমধ্যে সেই প্লান আমরা তৈরি করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও শক্তি দিয়ে দেশকে যেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা আমরা করব।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের অবস্থা কী ছিল? সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, অর্থ পাচার, ১০ ট্রাক অস্ত্র, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, একদিনে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলাসহ সারাদেশ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। তাদের অত্যাচার, নির্যাতন ও দুর্নীতির ফলে এই দেশ ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছিল।’
উন্নত দেশের জন্য নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালে এ সময় উপস্থিত জনতা সমস্বরে হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা করেন। পরে রাজবাড়ী-১ আসনের নৌকার প্রার্থী কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিমকে জনসাধারণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিৎ রায় নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়ক রিয়াজসহ গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ ছাড়াও পথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, আহম্মেদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার প্রমুখ।